আমার নেটোভিষেক কবে মনে নাই, ১৯৯৬ সনে সহকর্মী জয়নুল আবেদীন একদিন ধানমণ্ডি ২নম্বরে ঢাকা শহরের প্রথম দিকের এক সাইবার ক্যাফেতে নিয়ে গিয়েছিলেন মনে আছে আর সেখানেই প্রথম দেখলাম এই জগৎ, কিছুদিনের মধ্যেই ইয়াহুতে ইমেইল খুলে দিলেন আবু দারদা না ইকবাল খান। সাইবার ক্যাফেতে খানের সাথে আরো দুএকদিন গিয়ে মেইল চালা, গুগল সার্চ বেশ শিখলাম। ইকবাল খান পরে জাপান চলে গেলে তার সাথে বেশ মেইল চালাচালি করতাম। ইয়াহু হোম থেকে ইয়াহু গ্রুপের সন্ধান পেলাম আর সেখানে ঢু ঢা মারতে মারতেই ইয়াহু ট্যাগ্ড, হাই-৫, মাইস্পেস, অরকুট এইসব সোসাল নেটওয়ার্ক.চিনলাম। বিডিচ্যাট, চ্যাটিং ডটকম দেখতাম খুব জনপ্রিয় ছিল। হাই-৫ এর ফ্রেন্ড আমার স্কুলের পুরনো ছাত্রী প্রবাসি মুশফিকা প্রথমে আমাকে ফেসবুকের দাওয়াত দেয়। টুকটাক বহুকিছুতে বহুগামিতার একটা স্বভাব দেখা গেলেও কোথাও কখনো শিকড় গজাইয়া বসার ধর্ম আমার না। তাছাড়া আমার এত ইন্টারনেট, কম্পিউটার, পকেট নাই যে আজাইরা কোথাও মজে যাব। প্রেমে পড়ার মত মন চোখ আমার যেমন নাই, মনোযোগ কেড়ে নেবার মত রূপলাবণ্যও কারো মধ্যে দেখি নাই। সবকিছু দেখেশুনে ইন্টারনেট জগতকে একটা মহা গার্বেজ বলিয়াই বিবেচনা করিয়া থাকি। ইন্টারনেট ব্যবহার করে তথ্য-যোগাযোগ, প্রচার-প্রসার, সহজলভ্যতা, সহজবোধ্যতা, উন্নত জীবনব্যবস্থার যত শত-সহস্র সুবিধা, ইতিবাচক দিক আছে সেগুলি আয়ত্ত্ব করা, ব্যবহার ও প্রয়োগ করার মত ঘটনাগুলিও আমাদের এখানে ঘটিতেছে তবে গার্বেজিংএর পরিমাণ আরো বিপুল বিশাল।…